Barbaric Religion;Islam(বর্বরতার ধর্ম ;ইসলাম)
OP - April 04, 2017, 11:04 PM
ইস্টিশন ব্লগ থেকে নেওয়া।
সেদিন দুলাভাইসহ মিরপুর পপুলার হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর ফিরতেছিলাম।আমার সাধারনত অসুখ খুব একটা হয় না।তবে কয়েকমাস যাবত আমার এক বন্ধু আমার জামা কাপড় ব্যাবহার করায় তার থেকে আমার শরীরেও স্কাবিস আক্রমন করে ।তবে এখন আমি সম্পূর্ণ সুস্থ।ফিরে যাই মুল ঘটনায়, সেদিন মিরপুর ১০ নং বেনারশি পল্লিতে ওয়াজ চলছিল।ওয়াজ থেকে কিছু কথা কানে এল।কোথাগুলো মোটামুটি এরকম," ভাইয়েরা সারাদেশে এখন জঙ্গিবাদ শুরু হয়েছে।এগুলা ইহুদি নাছ্রাদের ষড়যন্ত্র। ইহুদি নাছারারা চায় না মুসলমানেরা এক হোক।তাই তারা এখন ইসলামের নাম দিয়ে তাদের এজেন্ট দিয়ে ইসলামের নামে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে । ইসলাম নিরিহ মানুষ হত্যা সমর্থন করে না............"। আসলেই কি ইসলাম নিরীহ মানুষ হত্যা সমর্থন করে না? তাহলে দেখি কোরআন ও হাদিস কি বলে?
১। কোরআন থেকে রেফারেন্স:
(এক) আল্লাহ তাআলা বলেন:
فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ) التوبة5-)
অর্থ: অতঃপর মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা করো, তাদেরকে বন্দী করো, অবরোধ করো এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে থাকো। (সূরা তাওবাহ-৫)
(দুই) আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেন:
“قَاتِلُوا الَّذِينَ لا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ”
অর্থ: তোমরা যুদ্ধ করো আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং সত্য দ্বীন(ধর্ম) অনুসরণ করে না, যতক্ষণ না নত হয়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। (সূরা তাওবাহ-২৯)
২। হাদীস থেকে রেফারেন্সঃ
(এক) আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আমি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি যতক্ষণ না তারা বলে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” সুতরাং যে ব্যাক্তি “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর সাক্ষ্য দিবে তাঁর জান ও মাল-সম্পদ আমার থেকে নিরাপদ। তবে ইসলামের কোনো হক্* ব্যাতীত। আর তাঁর অন্তরের হিসাব আল্লাহ তাআলার উপর ন্যস্ত। (বুখারী, মুসলিম ১/৫২,হাঃ নং-২১। নাসায়ী-৬/৪ হাঃ নং৩০৯০)
(দুই) সহীহ মুসলিমে বুরাইদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) কোনো বাহিনী বা সারিয়া প্রেরণের প্রাককালে সেনাপতিকে এই উপদেশ দিতেন যে, তোমরা আল্লাহর নামে যুদ্ধ করবে, যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করে তাদেরকে হত্যা করবে……………।
(সহীহ মুসলিম-১৭৩১, ইবনে হিব্বান-১৫২৩)
( তিন) তিরমিজিতে বর্নিত হয়েছে, রাসূল (সাঃ) তায়েফবাসীদের প্রতি মিনজানিক (ক্ষেপণাস্ত্র) স্থাপন করেছেন। (সাবিলুস সালাম ৪/২৫৩১)
(চার) সালামাহ বিন আকওয়া (রাঃ) হতে, তিনি বলেন, আমরা আবু বকর (রাঃ) এর সাথে হাওয়াযেন গোত্রের অধিবাসীদের উপর রাত্রী বেলায় আক্রমণ পরিচালনা করি। রাসূল (সাঃ) তাঁকে আমাদের আমীর নিয়োগ করে দিয়েছিলেন। (আবু দাউদ)
(পাঁচ) আতিয়াহ আলকুরাজী (রাঃ) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, বনী কুরাইজার যুদ্ধে রাসূল (সাঃ) এর সামনে (কুরাইজাহ গোত্রের জনসাধারনকে) উপস্থিত করা হয়েছে। অতঃপর যাদের পশম গজিয়েছে (সাবালক হয়েছে) তাদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। আর যাদের পশম গজায় নি তাদের পথ হত্যা থেকে রেহাই দেন। আর আমি ছিলাম তাদের মধ্যে। অতঃপর আমাকে হত্যা থেকে রেহাই দেন।
(আবু দাউদ, নাসায়ী,ইবনে মাজাহ, তিরমিজী)
( ছয়) ওমর ফারুক (রাঃ) আবু জানদাল (রাঃ) বলেন, এরা মুশরিক, এদের রক্ত কুকুরের রক্ত। (মুসনাদে আহমদ ও বাইহাকী)
৩। আলেমদের রেফারেন্সঃ
(এক)ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন,
মুসলিম ব্যক্তি যখন এমন কোন কাফেরের সাথে সাক্ষাত করে যার সাথে কোন চুক্তি নেই, তখন তাকে হত্যা করা জায়েজ। (তাফসীরে কুরতুবী-৫/৩৩৮)
(দুই) ইবনে কাছির (রহঃ) বলেন:
ইবনে জারীর (রহঃ) এই ব্যাপারে ইজমা বর্ননা করেছেন যে, মুশরিকদেরকে হত্যা করা জায়েজ, যদি তাঁর সাথে ‘আমান’ বা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি না থাকে। যদিও সে বাইতুল হারাম বা বাইতুল মাকদিসে (পূন্যময় স্থানে) গমনরত অবস্থায় থাকে। (তাফসীরে ইবনে কাছীর-২/৬)
(তিন) ইমাম তাবারী (রহঃ) অন্যত্র বলেনঃ
এব্যাপারে ইজমা রয়েছে যে, কোনো মুশরিক যদি তাঁর গর্দানে, দুই বাহুতে দাড়িতে হারাম শরিফের সমস্ত লতা-পাতা লটকিয়ে রাখে তার যদি ‘আমান’ বা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি না থাকে তাহলে তাকে হত্যা থেকে ঐ কাজটি নিরাপত্তা দিবে না। (তাফসীরে তাবারী-৬/৬১)
বুঝতেই পারছেন ইসলাম শান্তির ধর্ম।আর জঙ্গিবাদ ইহুদী,নাসারাদের ষড়যন্ত্র।প্রকৃতপক্ষে জঙ্গিবাদ দমনের জন্য ইসলাম সংস্কারের কোন বিকল্প নেই।
No religion no war, No religious justification no discrimination.Free thinking & humanism is the way forward for global peace establishment.One law for all human being.